কর্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ ? যুক্তিযুক্ত বিচার

0

কর্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ ?

কর্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ ?


বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় যে মহাভারতে আপনার সবথেকে প্রিয় চরিত্র কে ? তাহলে ৯০% মানুষ উত্তর দেবে কর্ণ । এমনকি যে মহাভারতের সামান্যতমও জানে না সেও বলবে কর্ণ । শুধু প্রিয় চরিত্র হিসেবে নয়, যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় মহাভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা কে ? তাহলেও ৯০ শতাংশ মানুষের উত্তর হবে কর্ণ । আজকে আমি সেই মহান সূর্যপুত্র কর্ণের চরিত্রের বিশ্লেষণ করতে যাচ্ছি ।

প্রথমেই বলে রাখি আমি কর্ণকে পরিস্থিতির শিকার, unsang warrior বলার এইরকম ট্রেন্ড এর মধ্যে নেই ভাই । এর যথেষ্ট কারণও আমি দেখাতে পারবো । বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যক্তিত্ত্বের পরিচালকগণ হিন্দু পুরাণসহ রামায়ণ এবং মহাভারতকে বিকৃত করে সবার সামনে উপস্থাপণ করছেন । যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ গত ১৬ ই জুন মুক্তি পাওয়া আদিপুরুষ । যাক বাদ দিই । এখন আসি কর্ণের প্রসঙ্গে । বর্তমান সময়ে টিভি সিরিয়াল আর কতিপয় ইউটিউব চ্যানেলে যেন কর্ণের প্রসংশার কোনো অন্ত নেই । চারিদিকে শুধু কর্ণ আর কর্ণ । আর আপনাদেরকেও বলি, টিভি সিরিয়ালে আমাদের ধর্মকে যেভাবে উপস্থাপণ করা হয়, আর আমাদের ধর্মগ্রন্থে যা উপস্থাপিত হয়েছে তার মধ্যে এক সমুদ্র পার্থক্য রয়েছে । টিভি সিরিয়ালের পরিচালকেরা একটা গাজাখুরি কাহিনী বানিয়ে তার মধ্যে কর্ণকে প্রবেশ করিয়ে দিলো । ব্যাস, আপনারাও মনে করা শুরু করে দিলেন কর্ণ শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা, শ্রেষ্ঠ ধার্মিক । এমনকি অর্জুন এবং পিতামহ ভীষ্মের সাথে তুলনা করা শুরু করে দিলেন । যারা অথেন্টিক মহাভারত পড়েছেন তারা জানেন কর্ণের কীর্তিকলাপ ।

গতকাল আমি সূর্যপুত্র কর্ণ টিভি সিরিয়াল দেখছিলাম । সেখানে দেখালো শ্রীকৃষ্ণেরও ভুল হতে পারে । কিন্তু কর্ণের কখনো ভুল হয় না । এবং তিনি নাকি একাই পঞ্চপান্ডবের সমান । এ প্রসঙ্গে বলে রাখি পঞ্চপান্ডব বা অর্জুন তো দূরের কথা কর্ণ ভীমের কাছেই ৬ বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন । আজ আমরা অরিজিনাল মহাভারত অনুযায়ী কর্ণের শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে বের করবো । 

কর্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ ?

কিছু মানুষ সিরিয়াল দেখে অর্জুনের সাথে কর্ণের তুলনা করেন । কর্ণের সেই যোগ্যতাই ছিলো না কখনো । এজন্যেই মহাভারতের বাংলা অনুবাদক রাজশেখর বসু বলেছেনঃ 

আমরা কর্ণ চরিত্রের নীচতা ও মহত্ব দুইই দেখতে পাই (নীচতাই বেশী),
কিন্তু তাঁর সমন্বয় করতে পারি না । -রাজশেখর বসু

আরে অর্জুনের মতো মহান যোদ্ধা মহাভারতের যুগে আর কেউ ছিলো কিনা আমার জানা নেই । দেবতারা পর্যন্ত যে রাক্ষসদের পরাজিত করতে পারেনি । অর্জুন সেই রাক্ষসদের অর্জুন একদিনের যুদ্ধেই বধ করে ফেলেন । তথাকথিত কর্ণ ভক্তরা এখনই দৌড় দিবেন না । দাড়ান, আরো আছে । অর্জুন মহাবীর হওয়া সত্ত্বেও নারীদের প্রতি ছিলেন যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল । চিত্ররথের সঙ্গে স্বর্গে যাওয়ার পর উর্বশীর প্রতি তার ব্যবহার আমাদের সকলের হৃদয়কে জয় করে নিয়েছে ।

আর দ্যুতসভায় যখন দ্রৌপদীকে আনা হয় । তখন কর্ণ দুঃর্যোধনকে কোনো রকম বাধাপ্রদান করেন নি । যদি তিনি তখন দুঃর্যোধনকে বাধা দিতেন তাহলে তখন দ্রৌপদী এতো অসম্মানের শিকার হতো না । সেটা তো তিনি করলেনই না বরঞ্চ তিনি সকলের সামনে দ্রৌপদীকে বেশ্যা বলে সম্বোধন করে নিজের আসল চরিত্রের পরিচয় দিলেন । প্রকৃতপক্ষে কর্ণের মধ্যে না ছিল সহনশীলতা আর না ছিল ধর্ম । তার মধ্যে ছিল কেবল মিথ্যাচারিতা, স্বার্থপরতা এবং ব্যক্তিত্ত্বহীনতা ।

পান্ডবদের জতুগৃহে পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র, ভীমকে বিষাক্ত খাদ্যের সাহায্যে মারার চেষ্টা, দ্রৌপদীকে "বেশ্যা" আখ্যা দিয়ে দুর্যোধন এবং দুঃশাসন কে বস্ত্রহরনের জন্য প্ররোচিত করা, কথায় কথায় ভীষ্ম, দ্রোণ, কৃপাচার্য ইত্যাদি বয়োজ্যেষ্ঠদের অপমান ও অসম্মান করা । কর্ণের এই সকল গুণএর কথা তো কমবেশি প্রত্যেকেই জানে ।


কর্ণ সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের এই বাক্যটি শুনুনঃ

অশ্বত্থামা, কৃতবর্মা, শল্য, কৃপ -এদের প্রতি তোমার দয়া থাকতে পারে, কিন্তু পাপমতি ক্ষুদ্রাশয় কর্ণকে তুমি সত্বর বধ কর । জতুগৃহদাহ, দ্যুতক্রীড়া এবং দুর্যোধন তোমাদের উপর যত উৎপীড়ন করেছেন সে সমস্তেরই মুল এই দুরাত্মা কর্ণ ।

যারা মনে করেন কর্ণকে অন্যায় ভাবে বধ করা হয়েছে তারা মহাভারত পড়েছেন বলে আমার মনে হয় না । কারন কর্ণের রথের চাকা যখন পৃথিবী আঁকড়ে ধরে তখন সে অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে (একপ্রকার স্তুতি করেই বলে) বলেঃ

"হে কৌন্তেয়, একটু অপেক্ষা করো, আমার রথের চাকাকে পৃথিবী গ্রাস করেছে । হে অর্জুন ! যে রনভূমি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যে শরণাপন্ন, যে নিজের অস্ত্র ফেলে দিয়েছে, প্রাণভিক্ষা চাইছে, যার সকল প্রকার আয়ুধ এবং কবচ নষ্ট হয়ে গেছে, এই সকল প্রকার পুরুষের ওপর উত্তম ব্রত পালনকারী প্রহার করেন না । হে পান্ডুনন্দন ! তুমি সমস্ত লোকে মহান সুরবীর এবং সদাচারী বলে পরিচিত, তুমি যুদ্ধের সকল নিয়ম জানো । তুমি সকল বেদ-বেদান্ত অধ্যায়ন রূপী যজ্ঞ সম্পন্ন করেছ । তুমি সকল প্রকার দিব্যাস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করে অসীম আত্মবল সম্পন্ন কার্তবীর্য অর্জুনের সমান পরাক্রমশালী হয়েছো । হে মহাবাহো ! এই সময় আমার ওপর প্রহার করে ধর্মচ্যুত হয়ো না, যতক্ষন আমি রথের চাকা ভূমি থেকে উত্তোলন করছি, ততক্ষন আমায় ক্ষমা করো ।"


তার উত্তরে মহাত্মা শ্রীকৃষ্ণ বললেনঃ

"কি সৌভাগ্য আমাদের যে এখন এই মুহূর্তে তোমার ধর্ম মনে পড়ছে । তোমার মতো নীচ ব্যক্তি বিপদে পড়ে সবসময় দৈবের নিন্দা করে অথচ নিজের দুষ্কর্মের কথা কখনো স্বীকার করে না । হে কর্ণ ! যখন তুমি; দুর্যোধন; দুঃশাসন তথা শকুনি একবস্ত্রা, রজস্বলা দ্রৌপদী কে ভরা রাজসভায় বলপূর্বক টেনে এনে বস্ত্রহরণ করেছিলেন, তখন তোমার ধর্মবিচার কোথায় ছিলো ? শকুনি যখন যুধিষ্ঠিরকে ছল পূর্বক দ্যুতক্রীড়ায় পরাস্ত করেছিলেন, তখন তোমার ধর্ম কোথায় ছিলো ? বনবাস এবং অজ্ঞাতবাস পূর্ণ করার পরেও যখন পান্ডবদের রাজ্য ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করা হয্‌ তখন তোমার ধর্ম কোথায় ছিলো  ? যখন তোমার পরামর্শে দুর্যোধন ভীমসেনের উপর বিষপ্রয়োগ করে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছিল তখন তোমার ধর্ম কোথায় ছিলো  ? বারণাবর্তে জতুগৃহে ঘুমন্ত পান্ডবদের দগ্ধ করার চেষ্টা করার সময় তোমার ধর্ম কোথায় ছিলো ? যখন অসহায় দ্রৌপদীকে উপহাস করে "বেশ্যা" বলে সম্বোধন করেছিলে, তখন তোমার ধর্ম কোথায় ছিলো? যখন বীর অভিমন্যুকে তোমরা সকলে মিলে চারিদিক থেকে ঘিরে অধর্ম অবলম্বন করে বধ করেছিলে, তখন তোমার ধর্ম কোথায় ছিলো ? সেই সকল সময়ে যখন তোমার ধর্মের কথা মনে ছিল না, তাহলে এখন নিজেকে বিপদে দেখে যতই ধর্মের বাণী শোনাও না কেন কোনো লাভ হবে না, আজ নিয়তির হাত থেকে তোমার নিস্তার নেই" ।

এরপর কর্ণ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে ধনুক ধারণ অর্জুনের সাথে যুদ্ধ শুরু করেন, এরপর দুজনের মধ্যে ভীষন যুদ্ধ হয়, কর্ণ ব্রহ্মাস্ত্র পর্যন্ত প্রয়োগ করে এবং অর্জুন ব্রহ্মাস্ত্র দিয়েই তার উত্তর দেয় । শেষে অর্জুন অঞ্জলিকা অস্ত্র প্রয়োগ করে কর্ণের ধর থেকে মস্তক ছিন্ন করে এবং কর্ণের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে যায় । এর মধ্যে কোন অন্যায় আমি দেখতে পারছি না ।


এবার অর্জুনের সম্পর্কে কিছু বলিঃ

যুক্তিযুক্ত কিছু পয়েন্টঃ

  • কর্ণ দ্রোণাচার্যের আশ্রমে থাকাকালীন অন্তত তার চেয়ে দশ বছরের ছোট অর্জুনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে চেয়েছিল ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে । কিন্তু তিনি তার দক্ষতা দেখিয়ে প্রমাণ করতে পারেন নি যে তিনি ব্রহ্মাস্ত্রের যোগ্য । অন্যদিকে অর্জুন তার থেকে ১০ বছরের অনুজ হয়েও ব্রহ্মাস্ত্র ধারণ করার মতো দক্ষতা ও যোগ্যতা দুটোই অর্জন করে ফেলে ।

  • কর্ণ কবচ-কুন্ডল থাকা সত্ত্বেও মহারাজ দ্রুপদের কাছে হেরেছে (আদি পর্ব), অর্জুনের কাছে হেরেছে (আদি পর্ব), ভীমের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে (সভাপর্ব), গন্ধর্বরাজ চিত্রসেনের কাছে হেরে পালিয়েছে (বনপর্ব) । আর টিভি সিরিয়ালে দেখিয়েছে মহারাজ দ্রুপদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কেবল কৌরবেরাই গিয়েছিল । কর্ণ যায়নি ।

এর পরেও বলবেন কর্ণকে কবচ-কুন্ডল ছাড়া পরাজিত করা সম্ভব না । আরে মাথায় একটু বুদ্ধিও রাখুন । সিরিয়ালে চ্যানেলের টি আর পি বাড়ানোর জন্য কর্ণের বিকৃত গুণকীর্তণ শোনানো হয় ।

  • আরে কর্ণ অর্জুন তো দূরের কথা, অর্জুনের শিষ্য সাত্যকীর কাছে কয়েকবার আড়ং ধোলাই খেয়ে নিজেরই পটল তোলার যোগাড় হয়েছিল । অর্জুনের পুত্র অভিমন্যুও দুবার কর্ণি বান দিয়ে কানের চামড়া গুটিয়ে দিয়েছিল ।


  • আর যারা কর্ণকে দানবীর বলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি । কর্ণ কখনোই তার কবচ কুন্ডল দান করেননি । তিনি সেটি বিক্রি করেছিলেন । কারণ তিনি ইন্দ্রকে আগেই বলেছেন আপনি কিছু না দিলে আমি আপনাকে কবচ কুন্ডল দেবো না ।

  • কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীমের কাছে কর্ণ অন্তত ৫-৬ বার হেরেছে যেখানে ভীমকে হারাতে পেরেছে মাত্র একবার । সভাপর্বেও কর্ণ ভীমের কাছে পরাজয় স্বীকার করে যুধিষ্ঠিরকে কর দিয়েছেন । বিশ্বাস না হলে সিরিয়াল না দেখে মহাভারত পড়ে দেখুন গিয়ে ।

  • টিভি সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে কর্ণ যখন অর্জুনের দিকে নাগাস্ত্র নিক্ষেপ করেন তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে রক্ষা করেন । কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি । অর্জুন গরুড়াস্ত্রের ব্যবহার করে তার প্রতিরোধ করেছিলেন ।

  • দ্রুপদকে বন্দী বানানোর কাজে কর্ণ ১০০ জন কৌরব নিয়েও অসফল । সেখানে অর্জুন অন্যান্য চার পান্ডবদের সাথে নিয়ে দ্রুপদকে বন্দী করেন । কর্ণ পালিয়ে গেলেও চিত্রসেনের সাথে যুদ্ধ করে ভীমার্জুন চিত্রসেনকে পরাজিত করে দূর্যোধনকে মুক্ত করেন ।

  • একজন মানুষের পক্ষে যুদ্ধ করে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয় । অর্জুন তাও করেছিলেন ।

  • অর্জুন স্বর্গে গিয়ে কালকেয় নামক রাক্ষসদের বধ করেন । যারা দেবতাদের রাজধানী অমরাবতী দখল করেছিল একসময় ।

  • কৃষ্ণের সাথে মিলিত হয়ে খান্ডব বনের নাগ, দানব, রাক্ষস সবাইকে পরাজিত করেছেন । তিনি একাই যুদ্ধ করে নিবাতকবচদের বধ করেন । মনে রাখতে হবে দশানন রাবণও তাদের পরাজিত করতে পারেননি কখনোই ।



  • অর্জুন মল্ল্যযুদ্ধেও ভীমের সমান পারদর্শী ছিলেন । মনে আছে, শ্রীকৃষ্ণ জরাসন্ধকে সে, অর্জুন এবং ভীমের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে বলে ছিলেন মল্ল্যযুদ্ধের জন্য ।

  • বিরাট যুদ্ধে অর্জুন একাই কর্ণ, ভীষ্ম, দ্রোণ, অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য সহ সমস্ত কৌরবদের পরাজিত করেন ।

এটা কিন্তু সিরিয়ালে দেখানো হয় নি । এগুলো কি অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব ও বীরত্ত্ব প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয় ?


  • এছাড়াও তিনি বিরাটযুদ্ধে কর্ণের সামনেই কর্ণের ভাই সংগ্ৰামজিৎকে মারেন , কর্ণের বাম কানের চামড়া গুটিয়ে দেন এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনবার পালাতে বাধ্য করেন ।

তবে একটা ব্যাপার মানতেই হবে, কর্ণ যোদ্ধা বা ধনুর্ধর হিসেবে শ্রেষ্ঠ নয় তো কি হয়েছে যুদ্ধ থেকে পলাতক হিসেবে তার কোনো তুলনা হয় না । অর্জুন এখানে কর্ণকে সরাসরি কাপুরুষ হিসেবে ভর্ৎসনা করে বলেনঃ

"রে রাধেয়! তুমি এইমাত্র নিজের ভাইকে না বাঁচিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছ, তাও তু্মি সাধুসমাজে নিজের গর্ব কর, অতএব তোমার সমান নির্লজ্জ ও কাপুরুষ সারা পৃথিবীতে নেই"।


এছাড়া কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সতেরতম দিনে অর্জুন কর্ণকে বলেনঃ

"হে রাধেয়, আমার পুত্র চক্রব্যূহের মধ্যে একা ছিল, আমি তার পাশে উপস্থিত ছিলাম না, সেই সময় তোমরা সকলে মিলে আমার পুত্র অভিমন্যুকে হত্যা করেছ। কিন্তু আজ আমি তোমার সামনে তোমার পুত্র বৃষসেনকে বধ করবো । ক্ষমতা থাকলে তাকে আমার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেখাও"।

এই বলে অর্জুন কর্ণের সামনে তার পুত্র বৃষসেনকে বধ করেন ।

এবার আপনারাই ঠিক করুন । সিরিয়ালে দেখানো মহাভারত দেখে নয় । মহাভারত পড়ে এবং বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন । এবং বলুন কে শ্রেষ্ঠ ।

অর্জুন শুধু যুদ্ধবিদ্যাই নয় । চরিত্রের দিক থেকেও কর্ণের থেকে হাজারগুণে শ্রেষ্ঠ ছিলেন । এরপরেও যে কর্ণভক্তগণ আমার সাথে বিতর্ক করতে চান তারা মেসেজ করতে পারেন । মেসেজ বক্স নিচে গিয়ে ডানদিকে । তবে বিতর্ক হবে গঠনমূলক এবং যুক্তিযুক্ত । দয়া করে কেউ সিরিয়াল থেকে আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেন না ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top