ভগবান ও ঈশ্বরের মধ্যে পার্থক্য

0
ভগবান ও ঈশ্বরের মধ্যে পার্থক্য

Table Of Content (toc)

ঈশ্বর ও ভগবানের মধ্যে পার্থক্য কি ?

বহু দেব-দেবী এবং বহু ভগবানের চাপে পড়ে তা আমরা ভুলে যাই সনাতন ধর্মের মূল সৃষ্টিকর্তাকে । এই অস্পষ্টতা থেকে আমাদের মনে সৃষ্টি হয় হীনম্মন্যতার। এবং এক পর্যায়ে নিজ ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিভিন্ন ফাঁদে পড়ে বা টাকার লোভে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করা ও নাস্তিকতার খাতায় নাম লেখানো মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তাহলে এই ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায় কি? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে জ্ঞান, বিশুদ্ধ সনাতনী জ্ঞান। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, সনাতন ধর্ম বিষয়ে কাউকে আকৃষ্ট করার জন্য কোনো মিথ্যাচারের প্রয়োজন নেই। সনাতনধর্মের প্রকৃত বিষয়গুলো প্রকৃতভাবে জানলে বা জানালেই যে কোনো মানুষ তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন, যখন কোনো মানুষ, সনাতনধর্মের প্রকৃত সত্য বা তত্ত্বকে জানবে, তখন সে নাস্তিকতা বা ধর্ম পরিত্যাগ করার চিন্তা ছেড়ে আরও শক্তভাবে সনাতনত্বকে আঁকড়ে ধরবে। কারণ, সনাতন ধর্ম নিয়ে সঠিকভাবে গবেষণা করলে আপনি এমন একটি বিষয়ও পাবেন না, যেটা নিয়ে কারো কাছে লজ্জা পেতে হবে । প্রিয় দর্শক, সনাতনের শিকড়ের সন্ধানে আমাদের আজকের আয়োজন ইশ্বর, ভগবান ও দেবতাদের বিষয়ে। আমরা জানতে চাই ইশ্বর, ভগবান ও দেবতা শব্দ তিনটির প্রকৃত অর্থ। খুঁজে বের করতে চাই এই তিনটি শব্দের মধ্যকার কিছু মৌলিক পার্থক্য। যা জানতে পারলে আমরা আধ্যাত্মিকতার ইন্দ্রজাল ভেদ করে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাব ইশ্বরের ঐশ্বরিকতার দিকে ।

সনাতন শাস্ত্রের প্রধান তিনটি শব্দ হলো- ঈশ্বর, ভগবান এবং দেবতা । এর মধ্যে দেবতা সম্পর্কে আমাদের মাঝে কিছু বিচ্ছিন্ন ধারনা থাকলেও ইশ্বর ও ভগবান সম্পর্কে তেমন স্পষ্ট ধারনা দেখা যায় না । এই জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে যখন আমাদের উপর বহু ইশ্বরবাদের আরোপ লাগানো হয়, আমরা তখন তা নীরবে মেনে নিই। তাই আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে ইশ্বর, ভগবান ও দেবতার সংজ্ঞা। এই তিনটি সজ্ঞা জানার পরেই আমরা তুলনামুলক আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারব আমাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর। প্রথমেই আসুন ঈশ্বর কে তা জেনে নেওয়া যাক ।

ঈশ্বর কে ?

ঈশ্বর হলেন এক, অব্যয় ও অদ্বিতীয়। তিনি অনাদির আদি। এক হয়েও তিনি বহুদা বিভুতিতে প্রকাশ। যেমন তিনি একদিকে সৃষ্টি কর্তা ও স্হিতি কর্তা, অন্যদিকে দিকে তিনি প্রলয়েরও কর্তা । ঈশ্বর হল জাগতিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থানকারী কোন অস্তিত্ব| আর্যদের স্মৃতি শাস্ত্রে মূলতঃ ঈশ্বর বিষয়ে এভাবেই ধারণ দেয়া হয়েছে। এই ঈশ্বরের ধারণা ধর্ম ও ভাষা ভেদে কিছুটা ভিন্ন হলেও সকল ধর্মই ইশ্বর বলতে এক অনন্ত-অসীম সত্বাকেই প্রকাশ করে যা সর্ব কারণের আদি কারণ ।

ভগবান কে ?

“ভগ” ও “বান” – এদুটি শব্দের সন্ধির ফলে মূলতঃ ভগবান শব্দের উদ্ভব হয়েছে। ‘ভগ’ শব্দের অর্থ ঐশ্বর্য্য এবং ‘বান’ শব্দের অর্থ অধিকারী। অর্থাৎ যিনি ভগ তথা ঐশ্বর্যের অধিকারী তাকে আক্ষরিকভাবে বলা হয় ভগবান । পরাশর মুনি ভগবান শব্দের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন- যার মধ্যে সমস্ত ঐশ্বর্য্য, সমস্ত বীর্য্য, সমস্ত যশ, সমস্ত শ্রী, সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত বৈরাগ্য এই ছয়টি গুন পূর্ণমাত্রায় বর্তমান, তিনি হচ্ছেন ভগবান । মূলতঃ একারণে সনাতন ধর্মে বহু মুনি, মহামুনি, ঋষি, মহাঋষিদের নামের আগে ভগবান শব্দটির ব্যবহার হতে দেখা যায় ।

দেবতা কে ?

দেবতা শব্দের অর্থ হলো যাদের মানে ও দানে আমরা পুষ্ট । প্রকৃতির যে সকল উপাদান বা পরমেশ্বর সৃষ্ট বিভুতি জীবের জীবনধারাকে সর্বদা মসৃন করে রাখে এবং তাদের দানে জীব তথা মানুষ পুষ্ট থাকে – তারাই মূলতঃ দেবতা। অন্যভাবে বললে, দেবদেবীরা হচ্ছেন, নিরাকার ইশ্বরের বিভিন্ন শক্তির সাকার রূপ। যেমন নিরাকার ইশ্বরের বিদ্যাদায়িনী শক্তির সাকার রুপ হচ্ছেন দেবী সরস্বতী আবার সেই একই ইশ্বরের ধনদায়িনী শক্তির রুপ হচ্ছেন দেবী শ্রীলক্ষী। এভাবেই ৩৩ কোটি দেব দেবীর সবাই সেই একই ইশ্বরের এক একটি শক্তির সাকার রূপ। এখানে ৩৩ কোটি দেবদেবীর প্রসঙ্গটি একটু বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সনাতন ধর্মে ৩৩ কোটি দেব দেবী আছেন কথাটি শুনতেও বিব্রতকর। কিন্তু সত্য জানলে আপনাকে বিব্রত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সংস্কৃতে কোটি শব্দের দুটি অর্থ, একটি হল ‘প্রকার’ এবং অপরটি হল ‘কোটি বা Crore। বেদে বলা হয়েছে আমাদের “ত্রয়স্তিমাশতি কোটি” দেবতা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ত্রয়স্তিমাশতি শব্দটিকে বাংলায় ৩৩ অনুবাদ করা হলেও কোটি শব্দটিকে আর অনুবাদ করা হয় নি। যার ফলে ৩৩ প্রকার দেব দেবী হয়ে ঊঠলেন ৩৩ কোটি দেবদেবী ।

এই ৩৩ প্রকার দেবদেবী হচ্ছেন- প্রথম ১২ প্রকার আদিত্য , এরপর আছেন ১১ প্রকার রুদ্র। এই একাদশ রুদ্র হলেন মহাদেব শিবের বিভিন্ন রূপ। আরও আছেন ০৮ প্রকার বসু ।এই ৮ প্রকার বসুকেই আমরা ছেলেবেলায় ৮ এ অষ্টবসু পড়ে এসেছি।এবং সবশেষে আছেন দুই অশ্বিন। এই সব মিলিয়ে মোট ৩৩ প্রকার দেবদেবীকে ৩৩ কোটি দেবদেবী বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে ।

শ্রীকৃষ্ণকে কেন একইসাথে ভগবান এবং ঈশ্বর বলা হয়?

এবার আসুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক । যশ, বীর্য, ঐশ্বর্য, শ্রী, জ্ঞান, বৈরাগ্য- এই ছয়টি গুণ যার মধ্যে থাকে, তাকে বলা হয় ভগবান; আর সকল গুন যার মধ্যে থাকে তাকে বলে ঈশ্বর । কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষে এই ছয়টি গুণ অর্জন করা সম্ভব নয়, শুধু অবতার রূপে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষেই কেবল এই ছয়টি গুণ অর্জন করা সম্ভব; এছাড়াও প্রায় সব দেবতা এই ছয়টি গুনের অধিকারী, এই জন্যই বলা হয়- ভগবান রামচন্দ্র, ভগবান পরশুরাম, ইত্যাদি। কিন্তু পরমেশ্বর বা ঈশ্বর বলা হয় শুধু মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ এবং পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মকে। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ভগবান উপাধির অধিকারী শুধু অবতারগন এবং দেবতারা; তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর বলা হচ্ছে কেনো ? হিসাবটা খুব সহজ, অন্যান্য সব অবতার ছিলেন বিষ্ণুর আংশিক অবতার, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন শ্রীবিষ্ণুর পূর্ণ অবতার। তাই কৃষ্ণের মধ্যে সকল গুণ ছিলো বলেই তিনি ঈশ্বর এবং যার মধ্যে সকল গুণ থাকে, তার মধ্যে যে পুর্বের ছয়টি গুণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই শ্রীকৃষ্ণ নিজেই ইশ্বর আবার নিজেই ভগবান ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হলেও শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর হন, বিষ্ণু তো পরমব্রহ্ম তথা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, ও মহেশ্বর- এর একজন মাত্র ? বিষ্ণুই যদি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবেন ।

তাহলে, ব্রহ্মা এবং মহেশ্বর কে ?

এই ধারণা ই সনাতনধর্মের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ধারণার সকল জটিলতার মূল। আমরা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে একেকটি ভাগে এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতাকে বন্টন করে দিয়েছি এবং নানা আজগুবি গল্পের কাহিনী লিখে, সেই তিনজনের মধ্যে নানা ঝগড়া বিবাদও লাগিয়ে দিয়েছি, ফলে তারা তিনজন সম্পূর্ণভাবে আলাদা তিনটি সত্ত্বাতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয় ।

নিরাকার ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যখন সৃষ্টি করেন, তখন তারই নাম ব্রহ্মা, যখন পালন করেন, তখন তারই নাম বিষ্ণু এবং যখন ধ্বংস করেন, তখনই তার নাম শিব বা মহেশ্বর। এই তিনটি নাম, তিনটি আলাদা আলাদা সত্ত্বা নয়, একই ঈশ্বরের আলাদা তিনটি নাম মাত্র। এগুলোর প্রমাণ দেখা যায় শ্রী শ্রী গীতার অনেকগুলো শ্লোকে, যেগুলো আপনারা কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারবেন; তার আগে – আরো একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টিকে স্পষ্ট করতে চাই। ধরুন একজন মানুষ যখন ক্ষেতে ফসল ফলান তখন তিনি কৃষক, তিনি যখন তার কৃষিপণ্য নিজেই বাজারে বিক্রি করেন তখন তিনি দোকানী, বিক্রিত টাকা থেকে তিনি যখন কিছু ক্রয় করেন তখন তিনি ক্রেতা, তিনি যখন পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছেন তখন তিনি পথিক, তিনি যখন বাড়ি ফিরলেন তখন তিনি গৃহস্বামী। এখানে এতগুলো পদবী দ্বারা শুধুমাত্র একজন মানুষকে নির্দেশ করা হয়েছে। এই পদবী বা নামগুলো নির্ধারিত হয় তার কর্ম বা পেশাকে ভিত্তি করে। ঠিক একই রকমভাবে পরমব্রহ্ম বা নিরাকার ইশ্বর আমাদেরকে সৃষ্টি করেন, পালন করেন আবার প্রয়োজনে সংহারও করে থাকেন। যখন তিনি সৃষ্টি করেন তখন আমরা তাকে বলি ব্রহ্মা, যখন পালন করেন তখন তাকে বলি বিষ্ণু, আবার যখন তিনি সংহার করেন তখন তাকে বলি শিব। একজন মানুষকে যেমন তার কর্ম বা পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়, ইশ্বরের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক একই ।

এবার দেখুন এতক্ষণ যা বললাম সেগুলোকে গীতা সমর্থন করে কি না ? খুব বেশি কিছু না বুঝলেও, শুধু যদি কৃষ্ণের বিশ্বরূপের তত্বটি ভালোভাবে অধ্যয়ন করলেই বুঝতে পারবেন যে, কৃষ্ণই সবকিছু এবং সবকিছুর আশ্রয় কৃষ্ণের মধ্যেই; কৃষ্ণের বিশ্বরূপের মধ্যে যা কিছু নেই, তার পূজা প্রার্থনা ও আরাধনা করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা এই মূল তত্ব না বুঝে, শুধু বহু দেবতার ই নয়, নির্বোধের মতো- পার্থক্য করে চলেছি ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বরেরও ।

যাই হোক, ঈশ্বর হিসেবে কৃষ্ণই যে সব কিছু, এবার সেই প্রমাণগুলো তুলে ধরছি গীতার আলোকে-

গীতার ১০ম অধ্যায়ের ৬ নং শ্লোকে বলা হচ্ছে,

সপ্ত মহর্ষি, তাদের পূর্বজাত সনকাদি চার কুমার ও চতুর্দশ মনু, সকলেই আমার মন থেকে উৎপন্ন হয়ে আমা হতে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই জগতের স্থাবর জঙ্গম আদি সমস্ত প্রজা তাঁরাই সৃষ্টি করেছেন।

আপনারা জানেন, ব্রহ্মার মন থেকে উৎপন্নদের মনু বলা হয়, কিন্তু এখানে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, চতুর্দশ মনু তার মন থেকেই উৎপন্ন, তার মানে ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ।

আবার দেখুন, গীতার ১১শ অধ্যায়ের ১৫ নং শ্লোকে বলা হয়েছে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তার দেহে কমলাসনে স্থিত ব্রহ্মাকে ধারণ করেছিলেন ।

আবার, ১০ম অধ্যায়ের ২৩ নং শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, রূদ্রদের মধ্যে আমি শিব ।
অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণই যে শিব এখানে তা প্রমাণিত ।

গীতার ১৩ অধ্যায়ের ১৭ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,

পরমাত্মাকে যদিও সমস্ত ভূতে বিভক্তরূপে বোধ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। যদিও তিনি সর্বভূতের পালক তথা বিষ্ণু, তবু তাকে সংহার কর্তা তথা শিব ও সৃষ্টিকর্তা তথা ব্রহ্মা বলে জানবে।

শুধু তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণই যে ব্রহ্ম, সেই কথা বলা আছে গীতার ১৪ অধ্যায়ের ২৭ নং শ্লোকে,

আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়। অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয় ।

এছাড়াও গীতার ১০ অধ্যায়ের ৩১ নং শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

আমিই রাম ।

অন্যদিকে গীতার ১০ অধ্যায়ের ২৪ নং তিনিই বলছেন,

সেনাপতিদের মধ্যে আমি কার্তিক ।

তবে এই বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যটি হল গীতার ৯ অধ্যায়ের ২৩ নং শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন হে কৌন্তেয়, যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধিপূর্বক আমারই পূজা করে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top