মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরু কতটা করেছে হিন্দুদের জন্য

2
গান্ধী ও নেহেরু কতটা করেছে হিন্দুদের জন্য

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরু এরা দু-জনই হিন্দু জাতি,ধর্ম,সংস্কৃতি ধ্বংস করার কতোবড় নীল-নকশা ও ষড়যন্ত্র প্রনয়ণকারীর হোতা ও কারিগর ছিল তা কল্পনারও ঊর্ধ্বে ।


এরা ভারতে হিন্দু জাতি-ধর্ম ধ্বংস করার জন্য অসংখ আইন ও ধারা পাশ করেছিল যাতে সচেতন হিন্দুরা এর প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিছুই করতে না পারে ।

আইন করে হিন্দুদের ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল,কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে !  হিন্দুদের তীর্থস্থানের আয় দিয়ে তীর্থস্থানের উন্নয়ন না ঘটিয়ে তা ব্যয় করা হতো বিধর্মীদের উন্নয়নে । যেমন সম্রাট অশোক করেছিল বৌদ্ধ ধর্মের উন্নয়নে । 

ঠিক এই আদলেই এই দুই করমচাঁদ ব্যয় করতো বিধর্মীদের হজ ভাতা, মাদ্রাসা ভাতা, মাঝার ভাতা, এদের ধর্মপ্রচার ভাতা, দরীদ্রভাতা প্রভৃতি কাজে ।

উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুদের ধীরে ধীরে হীনবীর্য ও মেকিতে পরিণত করা যাতে ভারত দ্রুত ধ্বংস হয়ে মুসলিম দেশে পরিণত হয় । বিধর্মীদের ধর্ম প্রচারে উৎসাহিত করা হতো।  সনাতন ধর্ম প্রচারে বাধা দেওয়াই ছিল তৎকালীন কংগ্রেসের লক্ষ ! 

হিন্দুদের ধর্ম সভা-সমাবেশে এই করমচাঁদ কুরানের বানী পড়ে শোনাতো !  মনে রাখবেন এর শ্রোতা ছিল সব হিন্দু । 

কিন্তু এই করমচাঁদ বিধর্মীদের ধর্মীয় সভায় গীতা পাঠ করতো না !  ষড়যন্ত্রটা বুঝতে পারছেন তো ?


বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের গনতন্ত্রের প্রশংসা করতো । এক পার্টির গনতন্ত্রের দেশ । যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ইতিহাসে বিরল । বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন হিন্দুরা নির্যাতিত হতো তখন এই দুই করমচাঁদ ও কংগ্রেস টু-শব্দ পর্যন্ত করতো না ! প্রতিবাদ, বিক্ষোভ তো দূরের কথা । 

তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকীদের ও বিধর্মীদের জন্য মায়াকান্যায় ভেঙ্গে পড়তো এবং পিকেটিং-মিছিল বের করতো ! 

যেমন দক্ষিন ভারতের রাজা জামিরুন আরব্য বণিকদের কাছ থেকে উপঢৌকনের বিনিময়ে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করতো, তেমনি সনাতন ধর্ম ধ্বংস করার জন্য ঐ সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত জামিরুন থেকে শুরু করে পূর্নিয়া পন্ডিত, করমচাঁদ, নেহেরু, জ্যোতি বসু, মাননীয়া, নোবেল সেন নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা এ ধরনের কিছু নির্বুদ্ধিজীবী লেখক, সাহিত্যিক, বামপন্থী সাংবাদিক ও কংগ্রেসের ভিতর লুকিয়ে থাকা কিছু লোক । এদের যেন অভাব নেই । 

বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগমুহুর্ত পর্যন্ত এরা হিন্দু নির্যাতনের ধারা পূর্নরূপে অব্যাহত রেখেছিল ! 


বর্তমানে কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই তাতে কি হয়েছে তারা চালিয়ে যাচ্ছে । 


নোবেল সেন দেশে থাকা সংখ্যালঘুদের জন্য মায়াকান্না করে কিন্তু পার্শবর্তী দেশে থাকা সংখ্যালঘুর আর্তচিৎকার শোনে না । কথায় আছেঃ

" ঘুমের মানুষ জাগ্রত করা যায় কিন্তু জাগ্রত মানুষ জাগ্রত করা যায় না "

অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন ভাল । তাই বলে রাজনীতিতে নয় । অঙ্কের শিক্ষক অঙ্কে ভাল তাই বলে ইংরেজিতে নয় ! এ জন্য রাজনীতি নিয়ে পড়া উচিৎ ছিল । এত উদার পন্ডিত । পাকিস্তান ছেড়ে পরিবারবর্গ নিয়ে ভারতে আসার কি প্রয়োজন ছিল ? পাকিস্তানেই থাকা উচিৎ ছিল । 

বামপন্থী রাজ্য সরকার ক্ষমতা ব্যবহার করে লঙ্কাকান্ড ঘটিয়ে আজ দূর্গামন্দির থেকে আজান দেওয়াচ্ছেন । গীতাও পোড়াচ্ছেন, হিন্দু হয়েও বিধর্মী আচার পালনে অংশগ্রহণ করছেন । এমনি আর কত কিছু করে যে তারা চষে বেড়াচ্ছেন তা বলা মুশকিল । 

এমনি করে এরা সনাতন ধর্মকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে । 

মিঠুন চক্রবর্তীর ভাইয়েরা বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ইসলামের নামে ঝাপিয়ে পড়ে কতো ফতুয়াই না দিয়ে বেড়াচ্ছে ! ভারতে ব্রাহ্মণ পরিবার  ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে ওয়েসি বংশ ধারন করে সনাতনীদের সাথে বিরোদ্ধ আচরন করছে । পাকিস্তানের জাতির জনকের পূর্বপুরুষ ব্রাহ্মণ থেকে ইসলাম ধর্মে গিয়ে আজ পাকিস্তানকে প্রায় হিন্দুশূন্য করে ফেলেছে । 


পক্ষান্তরে, ভারতে থাকা কিছু বিকৃত মন-মানসিকতার কিছু বিপথগামী হিন্দু লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, বামচেতনায় বিশ্বাসী কিছু মেকি হিন্দুর দল নিজ ধর্মের ক্ষতি করে স্যেকুলারিজমে মেতে উঠেছে ।

যেভাবে একজন হিজরা নিজেকে নারী অপেক্ষা সুন্দরী দেখানোর জন্য অতি শৃঙ্গার করে নিজের শরীরের সঙ্গে ঘোর অপরাধ করে ফেলে । তেমনি একজন সংকীর্ণ, কুন্ঠিত, অজ্ঞানী হিন্দু ধর্মনিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথেই অন্যায় করে ফেলে । আচার্য চাণক্যের বাণীতে আছেঃ

"এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সোজা মানুষ আর সোজা গাছই সবার আগে কাটা পড়ে"


সনাতনীরা অতি সহজ-সরল বলেই এই করমচাঁদ ও নেহেরু, কংগ্রেস, বামপন্থীরা তাদের ধ্বংস করার জন্য মেতে উঠেছিল । সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে তা এখন অনেকাংশেই প্রশমিত হয়েছে । 


ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার প্রাক্কালে পূর্ব-পাকিস্তানে ছিল সাড়ে সাতচল্লিশ ভাগ হিন্দু এবং পশ্চিম-পাকিস্তানে ছিল একত্রিশ ভাগ ! 


কিন্তু হায়........


বর্তমানে পূর্ব-পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে সাড়ে সাত পার্সেন্ট হিন্দু আর পাকিস্তানে শূন্যের কুঠায় এসে দাড়িয়েছে । 

অথচ ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় মুসলিম সংখ্যা কত ছিল আর এখন কত ? হিসেবটা মিলিয়ে দেখুন ! 

ধর্মভিত্তিক নাগরিক বিতাড়নে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ! এতে বাংলাদেশ খেতাব পেয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ 🤐।

হিসেবে আসলে মুসলিম দেশগুলোই হলো ধর্মভিত্তিক নাগরিক বিতাড়নের দেশ এবং ধর্মভিত্তিক নাগরিক বিতাড়নে অভ্যস্ত ও বিশ্বাসী, এটাই তাদের মূলমন্ত্র । 

তাই হিন্দুগণ সতর্ক হোন । না হলে আমাদের সনাতন ধর্ম সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top