পুরোহিত এবং ব্রাহ্মণের পার্থক্য

2

পুরোহিত এবং ব্রাহ্মণের পার্থক্য

পুরোহিত শব্দটি পুরস এবং হিত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । পুরস শব্দের অর্থ সম্মূখে এবং হিত শব্দের অর্থ অবস্থান ।

অর্থাৎ যিনি পূজা অর্চনার সময় সকলের অগ্রভাগে অবস্থান করেন তিনি পুরোহিত । 

পুরোহিত এবং ব্রাহ্মণের পার্থক্য


আমাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ধারনা যে ব্রাহ্মণ এবং পুরোহিত একই কথা । এদের মধ্যে আবার পার্থক্য থাকে নাকি । 

কিন্তু এ সকল ধারনা সম্পূর্ণরূপে ভুল । 

ব্রাহ্মণ বলতে যাদের ব্রহ্মবিদ্যা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান বা ধারনা আছে এবং যিনি ব্রহ্মবিদ তাকে বোঝানো হয় । 


পুরোহিত্য করার সময় সংস্কৃত ভাষাজ্ঞান থাকা অতি আবশ্যক । পৌরোহিত্য কেবল ব্রাহ্মণ বর্ণেরই পেশা নয়। যেকোন বর্ণের লোকেরাই যোগ্যতা বলে পৌরোহিত্য করার অধিকার লাভ কর‍তে পারে ।

একজন পুরোহিতের নিম্নলিখিত গুণাবলির অধিকারী হতে হয় : 

১.সংস্কৃত ভাষা লেখা ও পড়ার মতো জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা । 

২.নিত্যকর্ম ও পূজাবিধি সম্পর্কে ধারনা থাকা । 

৩.শুদ্ধভাবে মন্ত্র উচ্চারণের দক্ষতা অর্জন । 

৪.ধর্মশাস্ত্রে এবং শাস্ত্রীয় রীতি-নীতির ওপর অভিজ্ঞতা থাকা ।

৫.শিষ্টাচার এবং আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া । 

৬.হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তাত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা । 


উপরে উল্লিখিত গুণগুলী অর্জন করতে পারলেই যে কোন বর্ণের লোকেরাই পৌরোহিত্য করতে পারবে ।


আরও পড়ুন  : ইসলাম সম্পর্কে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top