একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে না ও করা যাবে না (২০২৫ আপডেটেড গাইড)

4

একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে না ও করা যাবে না (২০২৫ আপডেটেড গাইড)

একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে না, কোন কাজ করা নিষেধ, আর একাদশীর সঠিক উপবাস পদ্ধতি, সবকিছু বিস্তারিত জানুন। সর্বশেষ ২০২৫ আপডেট সহ পূর্ণ গাইড দেব আজকে । একাদশী থাকাকালীন আমাদের মনে প্রশ্নের পাহাড় জন্ম নেয় । এটা খাবো কি না, ওটা করবো কি না? নো চিন্তা ব্রো । আমি ব্যোমকেশ তো আছি । আজকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবো । 

Table Of Content (toc)

একাদশী সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর 2025

একাদশী পালনকারীদের অনেকেরই একাদশী সম্পর্কে বিবিধ প্রশ্ন থাকে । আজ সবগুলো প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো । সাথেই থাকুন!

একাদশীর খাদ্য তালিকা

১. সামর্থ অনুযায়ী দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার ও দ্বাদশীতে একাহার করবেন ।

২. এতে অসমর্থ হলে একাদশীতে অনাহার ।

৩. যদি এতেও অসর্মথ হন একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জ্জন করে ফল-মূলাদি অনুকল্প গ্রহনের বিধি আছে । একাদশীতে কিছু সবজী ফল-মূলাদি গ্রহণ করতে পারেন । যেমনঃ গোলআলু, মিষ্টিআলু ও চালকুমড়া, বাদাম তৈল অথবা ঘি দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে আহার করতে পারেন ।

৪. দুধ, কলা, আপেল, আঙ্গুর, আনারস, বেল, তরমুজ, নারিকেল, পেয়ারা, শসা, মিষ্টিআলু ইত্যাদি ফল-মূলাদি আহার করতে পারেন ।

আরো জানুনঃ মহালয়া কেন পালন করা হয় ? এর মাহাত্ম্য কি ?


অনেকেই বলে একাদশীতে পঞ্চশস্য পরিহার করতে হয়! এখন কথা হলো এগুলো আসলে কি । আসুন জেনে নিই

পঞ্চ শস্য কি কি ?

১. ধান জাতীয় খাদ্যঃ যেমন-চাউল, মুড়ি, চিড়া, সুজি, পায়েস, খিচুড়ি, চাউলের পিঠা, খৈ ইত্যাদি ।

২. গম জাতীয় খাদ্যঃ যেমন- আটা, ময়দা, সুজি, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি ।

৩. যব বা ভূট্টা জাতীয় খাদ্যঃ যেমন- ছাতু, খই, রুটি ইত্যাদি ।

৪. ডাল জাতীয় খাদ্যঃ যেমন- মুগ, মাসকালাই, খেসারী, মশুরী, ছোলা, অড়হড়, বরবটী, শিম ইত্যাদি ।

৫. সরিষা,তিল তৈল ইত্যাদি ।

আরো জানুনঃ কেন হত্যা করা হয়েছিল শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুকে ?

একাদশীতে যা যা বর্জনীয় ❌

  • পঞ্চ রবিশস্য একাদশীতে গ্রহণ করলে ব্রত নষ্ট হবে ।
  • একাদশী ব্রত করলে যে কেবল নিজের জীবনের সদগতি হবে তা নয়,একাদশী ব্যক্তির মৃত পিতা-মাতাও নরক থেকে উদ্ধার হতে পারে ।
  • একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে যেমন নিজে নরক বাসী হবে, অন্যকে ভোজন করালেও নরকবাসী হবে । কাজেই একাদশী পালন করাই আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য ।
  • একাদশীতে পারন পঞ্জিকাতে একাদশী পালনের সময় দেয়া থাকে সেই সময়ের মধ্যে ভগবানকে নিবেদন করে প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করা একান্ত দরকার । নতুবা একাদশীর কোন ফল লাভ হয় না , নরকবাসী হতে হয় ।
  • একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস নয়, নিরন্তর শ্রীভগবানের পূজাস্মরণ, মনন ও শ্রবণ-কীর্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হবে ।

একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে ? ✅

গোল আলু , মিষ্টি আলু , চাল কুমড়ো , পেঁপে , ফুলকপি, কাঁচা কলা ইত্যাদি সবজি ঘি অথবা বাদাম তৈল দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ করে আহার করতে পারেন, লবণ(সন্ধুক), গোলমরিচ, গোটা জিরা, আদা, নারিকেল ব্যবহার্য । কিন্তু অন্য কোন রকম ফোরন বা মসলা ব্যবহার করা যাবে না । 

বাহিরের মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খাওয়া যাবে না তবে নিজের হাতে লেবু দিয়ে ছানা তৈরি করে যদি মিষ্টি তৈরি করা হয় তাহলে গ্রহণ করা যাবে ।

শ্যামা চাওল খাওয়া যাবে না । বড় মোটা দানার সাবু খাওয়া যাবে যেটা মন্দিরে পাওয়া যায় ।

একাদশীতে কি শ্রাদ্ধ করা যায় ?

হ্যা, করা যায় । মনুষস্যগণের মধ্যে শূদ্র, বৈশ্য, ক্ষত্রিয় এবং ব্রাহ্মন - চার বর্ণেরই পিন্ডদান বিধি একরূপ । পিন্ডের দ্রব্যাদিও চার বর্ণের জন্য একই । ১৩ দিনের দিন যেহেতু যমদূতেরা মৃতব্যক্তিকে নিয়ে যমালয়ে দিকে যাত্রা করে, তাই শ্রাস্ত্র সিদ্ধান্ত হলো - ১০ দিন অশৌচ পালন ও ক্ষৌরকর্ম, ১১ দিনে শ্রাদ্ধ বা পিন্ডদান (একাদশী থাকলে ১২ দিনে) । ১৩ দিনের দিন যেহেতু যমদূতেরা মৃতব্যক্তিকে নিয়ে যমালয়ে দিকে যাত্রা করে, তবে ১৩, ১৫, ২০ অথবা ৩০ দিনে শ্রাদ্ধ বা পিন্ডদান করলে সেই পিন্ড খাবে কে ? ব্রাহ্মণেরা এইভাবে আমাদেরকে ভুল পথে চালিত করছে । এইজন্য আমাদের ধর্মকে জানতে হবে ভালো করে ।

এখানেঃ হিন্দুরা কেন পূজা করে প্রতিমা বিসর্জন দেয় ?

মাসিক চলাকালীন কি একাদশীর ব্রত পালন করা যায় ?

এক্ষেত্রে 'শ্রীশ্রীহরিভক্তিবিলাস' এ শ্রীল সনাতন গোস্বামীপাদ  মহর্ষি শৃঙ্গির  বচন উদ্ধৃত করে সুস্পষ্ট নির্দেশনা  দিয়েছেন ।

" একাদশ্যাং ন ভূঞ্জিথাঃ নারী দৃষ্টা রজস্যাপি "

অর্থাৎ নারী যদি রজস্বলাও হয় তথাপি একাদশীতে ভোজন করবে না । মানে মাসিক হলেও একাদশী কর্তব্য ।

একাদশীতে কি লবণ খাওয়া যায় ?

অবশ্যই সন্ধুক লবণ ব্যবহার করতে হবে, এটা সব উপবাসের জন্য প্রযোজ্য ।


একাদশীতে কি বাদাম খাওয়া যায় ?

হ্যা । বাদামসহ অন্যান্য আহায্য যেমন — দুধ, কলা, আপেল,আঙ্গুর, আনারস, আখঁ, আমড়া, তরমুজ, বেল, মিষ্টি আলু ও লেবুর শরবত ইত্যাদি ফলমূলাদি খেতে পারেন ।


একাদশীতে মৃত্যু হলে কি হয় ?

একাদশী থাকাকালীন যদি কারো মৃত্যু ঘটে । তাহলে সে স্বর্গ নয়, সরাসরি বৈকুন্ঠলোকে গমন করে ।

একাদশীর আগের দিন কি সহবাস করা যায় ?

না, একাদশী পালনের সময় আমাদের অবশ্যই সংযমী হতে হবে । একাদশীর আগের দিন, সহবাস সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ ।


একাদশীতে কি ঔষধ খাওয়া যাবে ?

একাদশী,জন্মাষ্টমী ইত্যাদি উপবাসে ঔষধ খেলে উপবাস বা ব্রত ভঙ্গ হবে না । এর প্রমাণ স্বরূপ হরিভক্তি বিলাসে (১২/৪০) এবং জৈবধর্ম গ্রন্থে মহাভারতের উদ্যোগপর্ব থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছেঃ

অষ্টৈতানাব্রতাঘ্নানি আপো মূলং ফলং পয়ঃ।
হবির্ব্রাহ্মণকাম্যা চ গুরোর্বচনমৌষধম্।।

অনুবাদ- আটটি দ্রব্য গ্রহনে ব্রত ভঙ্গ হয় না । তা হলো জল, মূল, ফল, দুধ, ঘৃত, ব্রাহ্মণকাম্যা, গুরুদেবের বচন এবং ঔষধ।"

ঔষধে যদি পঞ্চরবিশস্য মিশ্রিত থাকে, তাহলেও  তা গ্রহন করা যাবে । কারণ ঔষধের মধ্যে বিভিন্ন দ্রব্যাদির মিশ্রণ থাকাটা স্বাভাবিক ।

যেহেতু মূল শ্লোকের মধ্যে " ঔষধম্" শব্দটি রয়েছে,তাই যে দ্রব্য দিয়েই তৈরি হোক না কেন, যদি তা রোগ সারানোর ঔষধ হয় তবে উপবাসে তা গ্রহনে কোন বাধা থাকতে পারে না ।

আরো জানুনঃ জন্মাষ্টমী ব্রত কিভাবে পালন করবেন । জানুন নিয়মাবলী

একাদশীতে কি সাবু খাওয়া যায় ?

একাদশী তিথির মধ্যে- চাল, গম, তৈল, যব ও ভুট্টা এই পাঁচ প্রকার শস্য থেকে প্রস্তুত কোনো প্রকার খাবার খাওয়া নিষেধ। একাদশী তিথির দৈর্ঘ্য সাধারণত ২৬/২৭ ঘন্টা । এই দীর্ঘ সময় কেউ যদি না খেয়ে থাকে, তাহলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রার কার্যক্রম ব্যাহত হবে । সেজন্য একাদশী তিথির মধ্যে একবার যেকোনো ফল, জল এবং দুধ খাবার বিধান আছে, এই সময় সাবুও খাওয়া যায় একারণে যে- সাবু উপরে উল্লেখ করা পাঁচ প্রকার শস্যের মধ্যে পড়ে না ।

সাবু একটি গাছের গুড়ার ফল থেকে তৈরি । ব্যাপারটি কাছাকাছি হলেও কিছুটা ভিন্ন । সাবু, পাম গাছের কাণ্ডের ভেতরের নরম অংশ থেকে তৈরি করা হয় । সাবুতে শর্করা, আমিষ, খনিজ লবন এবং বিভিন্ন রকম ভিটামিন আছে, এটি খুবই সহজপাচ্য বলে সাধারণত শিশু এবং রোগীদেরকে খাওয়ানো হয় ।

একাদশীতে কি ছোলা খাওয়া যায়?

​না, একাদশীতে ছোলা খাওয়া যায় না । ছোলা এক ধরনের ডাল বা শস্য জাতীয় খাবার, যা একাদশীর উপবাসের নিয়মে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ । সুতরাং এটি পরিহার্য ।


একাদশীতে কি চুল কাটা যায়?

​হিন্দুধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী একাদশীতে চুল বা নখ কাটা উচিত নয় । কারণ এই দিনটি উপবাস এবং ঈশ্বরের আরাধনার জন্য সংরক্ষিত থাকে । শরীরের যত্ন সংক্রান্ত কোনো কাজ, যেমন চুল কাটা বা নখ কাটা, এই দিনে করা থেকে বিরত থাকা উত্তম ।


একাদশীতে কি ট্যাং খাওয়া যায়?

​হুম, ট্যাং খাওয়া যেতেই পারে । তবে কিছু ধর্মীয় পন্ডিত এটি এড়িয়ে চলাটাই প্রেফার করেন । কারণ ট্যাং বা এই ধরনের অন্যান্য প্যাকেটজাত পানীয়তে প্রায়শই কৃত্রিম চিনি বা ফ্লেভার থাকে । যদি আপনি কঠোরভাবে উপবাস পালন করেন ।  তবে সাধারণ জল বা প্রাকৃতিক ফলের রস পান করাই ভালো ।


একাদশীতে কি জল খাওয়া যায় ?

হ্যা, তবে যারা নির্জলা একাদশী পালন করবেন তারা জলপান করতে পারবেন না । তবে যারা শিশু, তারা পঞ্চ রবিশস্য বাদে সকল ফলমূল এবং জলপান করতে পারেন । তবে সেটা দুপুরের পরে হলে ভালো হয় ।

একাদশীতে কি সিগারেট খাওয়া যায় ?

এক্কেবারে নাহ! না মানে নাহ! যারা সাত্ত্বিক আহারী নন এবং চা, বিড়িসিগারেট পান কফি ইত্যাদি নেশা জাতীয় গ্রহণ করেন, একাদশী ব্রত পালনের সময়কাল পর্যন্ত এগুলি গ্রহণ করা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ । শাস্ত্রে এমনিতেই মাদকদ্রব্য গ্রহণকে পাপ বলা হয়েছে । আর এই পাপ যদি আপনি একাদশীর দিন করেন । তাহলে তার ক্ষমা আপনি কোনদিনও পাবেন না । সুতরাং সাবধান । একাদশীর দিন কোন মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না ।


একাদশীতে কি খেজুর খাওয়া যায়?

​হ্যাঁ, একাদশীতে খেজুর খাওয়া যায় । কারণ খেজুর এক ধরনের ফল, যা ফলারের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা যায় । এটি উপবাসের সময় শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে ।


একাদশীর খাদ্য তালিকা: কী খাবেন, কী এড়িয়ে চলবেন (FAQ)

➡মসলা ও তেল

একাদশীতে কি কি মসলা খাওয়া যায়?

সাধারণত, একাদশীতে গরম মশলা, হলুদ, লঙ্কা এবং সরিষা এড়িয়ে চলা হয় । তবে, কিছু মানুষ জিরা, আদা এবং কালো মরিচ ব্যবহার করে থাকেন । অনেকেই সাধারণ রান্নায় ব্যবহৃত মশলার বদলে সৈন্ধব লবণ ও জিরা ব্যবহার করেন ।


 একাদশীতে কি সরিষার তেল খাওয়া যায়?

না, একাদশীতে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় না । এর বদলে ঘি বা বাদামের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে ।


 একাদশীতে কি সূর্যমুখী তেল খাওয়া যায়?

না, সূর্যমুখী তেল একাদশীর উপবাসে খাওয়া উচিত নয় । 


 একাদশীতে কি সয়াবিন তেল খাওয়া যায়?

সয়াবিন তেলও শস্য জাতীয় উপকরণ থেকে তৈরি হয়, তাই এটি একাদশীতে ব্যবহার করা হয় না ।


⇒শস্য ও ডাল

একাদশীতে কি রুটি খাওয়া যায়?

না, রুটি গম থেকে তৈরি হয়, যা শস্য জাতীয় খাবার । একাদশীতে শস্য এবং ডাল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ।


একাদশীতে কি সুজি খাওয়া যায়?

না, সুজি গম থেকে তৈরি হয়, তাই এটি খাওয়া যায় না ।


একাদশীতে কি মুগ ডাল খাওয়া যায়?

না, মুগ ডাল একটি ডাল জাতীয় খাদ্য, যা একাদশীর উপবাসে নিষিদ্ধ ।


একাদশীতে কি ডাল খাওয়া যায়?

না, যেকোনো ধরনের ডাল একাদশীর দিন খাওয়া নিষিদ্ধ ।


একাদশীতে কি বেসন খাওয়া যায়?

না, বেসন ছোলা থেকে তৈরি হয়, যা একটি ডাল । তাই বেসন খাওয়া যায় না ।


⇒ফল ও সবজি

একাদশীতে কি লেবু খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, লেবু খাওয়া যায় । লেবু ফল হওয়ায় এটি উপবাসের নিয়মের মধ্যে পড়ে ।


একাদশীতে কি ভুট্টা খাওয়া যায়?

না, ভুট্টা শস্য জাতীয় হওয়ায় এটি খাওয়া যায় না ।


একাদশীতে কি বেল খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, বেল একটি ফল, যা ফলার হিসেবে খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি বাঁধাকপি খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, বাঁধাকপি খাওয়া যায়, কারণ এটি শস্য নয় ।


একাদশীতে কি বরবটি খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, বরবটি খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি বেগুন খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, বেগুন খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি ফুলকপি খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, ফুলকপি খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি পুঁইশাক খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, পুঁইশাক খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি পেয়ারা খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, পেয়ারা একটি ফল, যা খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি তাল খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, তাল একটি ফল, যা খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি ঢেঁড়স খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, ঢেঁড়স খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি ড্রাগন ফল খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, ড্রাগন ফল খাওয়া যায় ।


⇒অন্যান্য খাবার

একাদশীতে কি পান খাওয়া যায়?

না, পান খাওয়া উচিত নয় । এটি উপবাসের সময় শরীরকে সংযত রাখার নিয়মের পরিপন্থী ।


একাদশীতে কি রসগোল্লা খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, ছানা দিয়ে তৈরি হওয়ায় রসগোল্লা খাওয়া যেতে পারে। তবে, প্যাকেজড রসগোল্লায় অনেক সময় শস্য বা ময়দা মেশানো থাকে, তাই সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

 

একাদশীতে কি মিষ্টি খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, দুধ বা ছানা দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাওয়া যায় । তবে, অনেক মিষ্টিতে ময়দা ব্যবহার করা হয়, তাই সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত ।


একাদশীতে কি বাতাসা খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, বাতাসা খাওয়া যায় । এটি চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরি হয় এবং এতে কোনো শস্য থাকে না ।


একাদশীতে কি বিস্কুট খাওয়া যায়?

না, বিস্কুট সাধারণত ময়দা বা গম থেকে তৈরি হয়, তাই এটি খাওয়া যায় না ।


একাদশীতে কি পোস্ত খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, পোস্ত খাওয়া যায় । এটি কোনো শস্য বা ডাল নয় ।


একাদশীতে কি পনির খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, পনির দুধ থেকে তৈরি হয়, তাই এটি খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি নারিকেল খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, নারিকেল খাওয়া যায়। এটি ফল হিসেবে গণ্য হয়।


একাদশীতে কি দুধ খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া যায় ।


 একাদশীতে কি দই খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, দই খাওয়া যায় ।


একাদশীতে কি লুচি খাওয়া যায়?

না, লুচি ময়দা থেকে তৈরি হয়, যা শস্য । তাই এটি খাওয়া নিষিদ্ধ ।


➡অন্যান্য নিয়মকানুন

একাদশীতে কি তুলসী পাতা তোলা যায়?

না, একাদশীর দিন তুলসী পাতা তোলা উচিত নয় । তুলসী দেবীর প্রতীক এবং এই দিনে পাতা তোলা অনুচিত বলে মনে করা হয় । তুলসী পাতা প্রয়োজন হলে আগের দিন তুলে রাখা যেতে পারে ।


একাদশীতে কি দান করা যায়?

হ্যাঁ, একাদশীর দিনে দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় । এই দিনে গরিব বা অভাবী মানুষকে খাবার, বস্ত্র বা টাকা দান করা পুণ্যের কাজ ।


একাদশীতে স্বপ্ন দেখলে কি হয়?

একাদশীর দিন স্বপ্ন দেখা কোনো বিশেষ তাৎপর্য বহন করে না । এটি যেকোনো দিনের স্বপ্নের মতোই স্বাভাবিক । উপবাসের কারণে মন ও শরীর শান্ত থাকে, তাই অনেকেই আধ্যাত্মিক বা শান্তিপূর্ণ স্বপ্ন দেখতে পারেন, যা মনের শুদ্ধতার প্রতিফলন হতে পারে ।

একাদশীর পারন মন্ত্র

"একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।”

এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে পারন করতে হয় । 


একাদশী সংকল্প মন্ত্র

"একাদশ্যাং নিরাহারঃ স্হিত্বা অহম্ অপরেহহনি।
ভোক্ষ্যামি পুন্ডরীকাক্ষ স্মরনং মে ভবাচ্যুত।।"

অনুবাদ: হে পুন্ডরীকাক্ষ হে অচ্যূত আমি একাদশীর দিন উপবাস পূর্বক এই ব্রত পালন করার জন্য আপনার স্মরণ গ্রহণ করছি ।


আর্টিকেলটি হেল্পফুল মনে হলে নিচে কমেন্ট করে যেতে ভুলবেন না, আর হ্যা শেয়ারও করবেন বলে দিলাম!

নোটঃ এই পোস্ট সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে ২০২৫ সালে!

Post a Comment

4 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. AnonymousJune 11, 2022

    Hare Krishna Hare Krishna Krishna Krishna Hare Hare
    Hare Rama Hare Rama Rama Rama Hare Hare

    ReplyDelete
    Replies
    1. হরে কৃষ্ণ 🙏🏻

      Delete
  2. হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏🙏

    ReplyDelete
  3. Hare krishno

    ReplyDelete
Post a Comment
To Top