Table Of Content (toc)
চৈতন্য মহাপ্রভুকে হত্যা রহস্য
ছোটবেলা থেকেই ধর্ম বইয়ে পড়ে এসেছি শ্রীচৈতন্যদেব নাকি জগন্নাথদেবের সাথে বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন । এর পর তাকে আর দেখা যায় নি । কিন্তু আসলেই কি তাই ? কেন মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সেই চলে গেলেন মহাপ্রভু ? তবে কি হত্যা করা হয়েছিল শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুকে ? চলুন আজকে সেই রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করি ? আজকের প্রবন্ধটি অনেক তথ্যে ঠাসা । তো সম্পূর্ণ পড়লে অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করছি ।
সালটা ছিল ২০০০ । পুরীর বিখ্যাত শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার কার্য চলার সময় হঠাৎ গর্ভগৃহ থেকে উদ্ধার হল একটি আস্ত নরকঙ্কাল । দৈর্ঘ্য তে যা ছিল প্রায় ছয় ফুটের কাছাকাছি । গর্ভগৃহে কঙ্কাল ! চারিদিকে হৈচৈ পড়ে গেল । কিন্তু কার দেহাস্থি এটি ? চারদিক জুড়ে মাসাধিক কাল ধরে চলল প্রবল বিতর্ক । পরীক্ষা করে জানা গেল, মৃত ব্যক্তি ছিলেন অত্যন্ত দীর্ঘাঙ্গী এবং তার মৃত্যু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে । পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিচার করে বেশির ভাগ মানুষ তখন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে কঙ্কালটি আর কারো নয়, এই কঙ্কাল বাংলার ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেবের ! একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা শ্রীচৈতন্যের সমুদ্রে লীন হবার তত্ত্ব খারিজ হওয়ার পাশাপাশি পুরীর মন্দিরে তাকে হত্যা করার বিষয়টিও আরও একবার জনসম্মুখে প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৫৩৩ সালের ২৯ শে জুন মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে গান গাইতে গাইতে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য প্রবেশ করেছিলেন পুরীর মন্দিরে । এটাই শেষ, আর তাঁকে দেখা যায়নি । তিনি নাকি জগন্নাথের সঙ্গে বিলীন হয়ে গেলেন ? কিন্তু সত্যিই কি তিনি বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল ?
কেন অস্বাভাবিকভাবে চলে গেলেন মহাপ্রভু ?
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পান্ডাদের অনেকেই গর্ব করে বলে যে শ্রীচৈতন্যকে তাঁদের পূর্বপুরুষেরা হত্যা করেছিল । কেন করেছিল ? এরা বলে এর কারণ চৈতন্য নাকি বাংলার মুসলমান শাসকের চর ছিলেন, আর তাই চৈতন্যের ওড়িশ্যায় আগমনের পর এই প্রথমবারের জন্য গৌড়ের মুসলমান শাসক উড়িষ্যার সফল ভাবে হামলা করতে পেরেছিল । শ্রী চৈতন্যের অন্তর্ধান সম্পর্কে তিনটি কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে । এগুলো হলোঃ
- পুরী নীলাচলে কৃষ্ণ নাম, জপতে জপতে সমুদ্রের দিকে হেঁটে চলে যান ৷ আর বিলীন হন মহাপ্রভু ।
- জগন্নাথের মূর্তিতে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু লীন হয়ে গিয়েছিলেন ।
- তিনি সংকীর্তনে বের হয়ে পথে তাঁর পায়ে ইটের আঘাত লেগেছিল তার থেকে সেপটিসিমিয়া এবং মৃত্যু ।
- মতান্তরে পায়ে কাঠি ঢুকে যাওয়াতেই সেপ্টিসেমিয়া ।
এখানে কৃষ্ণের মৃত্যুর সঙ্গে মিল করা হয়েছে । সে যাই হোক, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যে শ্রী চৈতন্য কে গুম খুন করা হয়েছিল এই অভিমত সর্বপ্রথম প্রচার করেন ঐতিহাসিক ডক্টর নীহাররঞ্জন রায় । ১৯৭৬ সালের ৫ ই আগস্ট তারিখে পুরীর আনন্দময়ী আশ্রমের ডক্টর জয়দেব মুখোপাধ্যায়কে লেখা একটি চিঠিতে ডক্টর রায় লিখলেনঃ
"মহাপ্রভূ চৈতন্য দেব কে গুম খুন করা হয়েছিল পুরীতেই এবং চৈতন্য দেবের দেহের কোন অবশেষ চিহ্ন রাখা হয়নি কোথাও, এবং তা হয়নি বলে তিনটি কিংবদন্তি প্রচারের প্রয়োজন হয়েছিল ।... এই বয়সে শহীদ হবার ইচ্ছে নেই বলেই বলতে পারবো না , ঠিক কোথায় চৈতন্যকে খুন করা হয়েছিল । ” – নীহাররঞ্জন রায় (সপ্তডিঙ্গা , বর্ষ ২ , সংখ্যা ২ ) "
দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর "চৈতন্য অ্যান্ড হিজ এজ" গ্রন্থে লিখেছেনঃ
শ্রী চৈতন্য যদি বিকেল চারটের সময় মন্দিরের মধ্যে দেহত্যাগ করে থাকেন, আমরা জানি, ওই দিন রাত এগারোটা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলেনি । এই সময়টা লেগেছিল তার দেহ মন্দিরের মধ্যে পুঁতে ফেলে মন্দিরের মেঝে আবার আগের মতো করতে । রাত এগারো টায় দরজা খুলে বলা হলো প্রভু জগন্নাথের দেহে চৈতন্য লীন হয়ে গেছেন ।
ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেনের ধারণা ছিল, জগন্নাথ মন্দিরের পাণ্ডারা চৈতন্যকে পিটিয়ে মেরেছে কিন্তু কেন ? কী এমন মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ তিনি করেছিলেন ?
এখানেঃ রামকৃষ্ণ কি সত্যিই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ? নাকি সবই প্রোপাগান্ডা ?
মহাপ্রভুর উপর পান্ডাদের ঈর্ষা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শ্রীচৈতন্যের সংস্পর্শে কলিঙ্গের রাজা প্রতাপরুদ্র এতটাই আবিষ্ট হয়ে যান যে, তার উপর পুরীর পান্ডাদের প্রভাব কমে আসে । আর এতে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছিল । রাজা শ্রীচৈতন্য কে দেবতাজ্ঞানে মান্য করতেন । শ্রী চৈতন্য রাজাকে অনুরোধ করে নিচু জাতের লোকেদের বিভিন্ন ক্ষমতা অর্পণ করেছিলেন । যেমন মন্দিরে ঢোকার রথের দড়ি টানা ইত্যাদি । তিনি বলতেন প্রভু জগন্নাথ তো তাদেরই দেবতা । এতেই ক্ষিপ্ত ওঠেন মন্দিরের পাণ্ডারা । মহাপ্রভুর মহিমায় রাজা ক্রমশ যুদ্ধবিরোধী হয়ে পড়ায় যুদ্ধের সরঞ্জাম বিক্রেতারা অসুবিধায় পড়ে ছিল । যারা গুপ্তহত্যা করেছিল তারা মনে করত চৈতন্য দেবের প্রভাবে ধর্ম মুখী হয়ে রাজা প্রতাপ রুদ্রদেব বা মন্ত্রী রায় রামানন্দ রাজকার্যে অবহেলা করছেন । রাতদিন কৃষ্ণ ভজনায় মেতে থাকলে কলিঙ্গ রাজ্যে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ঘটতে পারে । ফলে তাঁকে হত্যা করার হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তারা । কোথায় হল এই হত্যা ? দেহই বা গেল কোথায় ?
বহু গবেষকই মনে করেন, জগন্নাথ মন্দিরের কলি বৈকুণ্ঠে যেখানে দারুব্রহ্মের পুরনো মূর্তি সমাধিস্থ করা হয় সেখানে মহাপ্রভুর দেহ মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়েছে । প্রসঙ্গত নব কলেবরের সময় জগন্নাথ দেবের মূর্তি হস্তী দরজা দিয়ে নিয়ে গিয়ে কলি বৈকুন্ঠ কবরস্থ করা হয় । সেই বৈকুণ্ঠে তাঁকেও পুঁতে দেওয়া হয় । অন্যমতে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল গুণ্ডিচা মন্দিরের গরুড় স্তম্ভের তলায় । আর দেহ মন্দিরে পুঁতে দেওয়া হয় ।
এখানেঃ হিন্দুধর্ম নিয়ে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি
চৈতন্য গবেষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
পুরীর স্বর্গদ্বারে মহাপ্রভুর মূর্তি তৈরি করেছিলেন লেখক জয়দেব মুখোপাধ্যায় । তিনি শ্রী চৈতন্যের অন্তর্ধান নিয়ে একটি গ্রন্থ লেখেন, নাম "কাহাঁ গেলে তোমা পাই" প্রথম খণ্ডটি প্রকাশ পায় । বিপদের আঁচ পান পান্ডারা, তারা বুঝতে পারছিলেন লেখক জয়দেববাবু ঠিক পথে এগোচ্ছেন । তাঁর গ্রন্থের দ্বিতীয় পর্বটি প্রকাশ হওয়ার আগেই জয়দেব মুখোপাধ্যায় ১৯৯৫ সালের ১৭ ই এপ্রিল অস্বাভাবিক ভাবে মারা যান । ঐসময় জয়দেব মুখোপাধ্যায়কে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার দুটো হাত পেছনদিক থেকে বাঁধা ছিল । অথচ ওরিশ্যার গোয়েন্দা বিভাগ এটিকে পুরো ধামাচাপা দিয়ে দেয় ।
তবে কি পান্ডারাই হত্যা করেছিল মহাপ্রভুকে ?
পুরীতে চৈতন্যের কোন সমাধি মন্দির নেই যত । গোলমাল এখানেই.... লোচন দাস তাঁর 'চৈতন্য মঙ্গলে' বলেছেন, একদিন প্রভু একমাত্র গদাধরকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন । কিন্তু প্রভু একাই মন্দিরে প্রবেশ করার পর কপাট আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায় । পিছনে ভক্তরা এসে কান্নাকাটি শুরু করতে একজন পাণ্ডা ভেতর থেকে এসে খবর দিল যে প্রভু জগন্নাথের লীন হয়ে গেছেন ৷ তাঁর ভক্তরা কেউ এই ঘটনার সাক্ষী হতে পারল না । সাক্ষী হলেন তাঁরই বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী পান্ডাদের একজন । এই সম্পর্কে বর্তমান ঐতিহাসিকদের মতে সেদিন কী ঘটেছিল দেখা যাক । তাহলে পরিষ্কার একটা আভাস পাওয়া যাবে যে চৈতন্যের মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয়নি । ঐতিহাসিকদের প্রশ্ন কেন তিনি একাকী জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেন ? যখন বিগ্রহগুলি গুণ্ডিচা মন্দিরে অবস্থান করছে তাহলে কি তারই কোনও ঘনিষ্ঠ পার্ষদ জুডাসের ভূমিকা নিয়েছিল ? লোচন বলেছেন, প্রভু যখন একাকী মন্দিরে প্রবেশ করলেন তখন দুয়ারে নিজ লাগিল কপাট । জগন্নাথ মন্দিরের ওই বিশাল বিশাল দরজাগুলি কীভাবে নিজে নিজে লেগে গেল ? তা একমাত্র জগন্নাথ দেবই বলতে পারবেন ৷
ঐতিহাসিকদের মতে সেই সময়ে মন্দিরের ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই চট করে দরজা বন্ধ করে দেন । তা যদি না হয় তাহলে পিছনে পিছনে তাঁর ভক্তরা যখন ঘুচাও কপাট প্রভু দেখি বড়ো ইচ্ছা বলে দরজা ধাক্কাধাক্কি করছেন তখন নিজে লেগে যাওয়া কপাট খুলে গেল না কেন ? কিন্তু শ্রীচৈতন্যের সঙ্গে ছিলেন গদাধর । বৃন্দাবন দাস ঠাকুর তাঁর অপ্রকাশিত 'চৈতন্য ভাগবতের' অবশিষ্ট অংশে বলেছেনঃ
আচম্বিতে গদাধর হইল অন্তর্ধান ।
কী ভাবে গদাধর আচমকা অন্তর্হিত হলেন ? তাঁর তো অন্তর্হিত হওয়ার কথা ছিল না । তাছাড়া তিনিও কি জগ্নাথের সঙ্গে লীন হলেন ? কে জানে । তাহলে কি অন্ধকার মন্দিরে লুকিয়ে থাকা শত্রুর দল তাঁকে গুম করে দিয়েছিল ৷ সাম্প্রতিক আবিষ্কৃত ওড়িয়া কবি বৈষ্ণব দাসের পুঁথিতে আছেঃ
রাত্রি দশ দন্ডের সময় চৈতন্যের মৃতদেহ গরুড় স্তম্ভের পিছনে পড়ে ছিল ।
এটা নাকি তিনি নিজের চোখে দেখেছেন । এই যে প্রায় সমস্ত পণ্ডিত বলছেন শ্রী চৈতন্য কে হত্যা করা হয়েছিল স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে কে হত্যা করেছিল চৈতন্যকে ?
আরো জানুনঃ দেখুন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ কি বলে গেছেন !
যুক্তিযুক্ত কিছু পয়েন্ট
পন্ডিতদের মতে, এই ঘৃণ্য কাজের দায়িত্ব ছিল জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার রক্ষী বাহিনীর তৎকালীন প্রধান দলপতির ওপর । তার নাম ছিল । সে নাকি বুকের ওপর বসে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরেছিল প্রভুকে । এখন প্রশ্ন হল, চৈতন্যের শবদেহ টা কিভাবে ও কোথায় হত্যাকারীরা পাচার করল ? পুরীর ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রাক্তন কর্মসচিব স্বামী অভিনব আনন্দজির মতে, মহাপ্রভুর দেহটিকে মণিকোঠার রত্ন বেদির নীচে সমাধিস্থ করা হয়েছিল । ডক্টর দীনেশ সেনের ধারণাও তাই ! ডক্টর জয়দেব মুখোপাধ্যায়ের মতে, কোহলি বৈকুন্ঠ অথবা তোতা গোপীনাথের মন্দিরে সমাধি দেওয়া হয়েছিল । বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও চৈতন্য বিশেষজ্ঞ পদ্মশ্রী সদাশিব শর্মার মতে, এটা গোপীনাথের বাঁধানো উঠোনের বামপাশ ঘেষে যে দুটি ছোট তুলসি মন্দির আছে তাঁর অপেক্ষাকৃত পুরনোটি হল চৈতন্যের সমাধিমন্দির । শেষে কয়েকটি ঘটনার পর্যালোচনা করলে দেখতে পাব চৈতন্যের মৃত্যু আদৌ স্বাভাবিক ভাবে হয়নি !
- চৈতন্যের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে চৈতন্য শিষ্য পুরীর রাজা প্রতাপরুদ্র রথযাত্রা ফেলে প্রাণভয়ে কটকে পালিয়ে গেলেন কেন ?
- চৈতন্যের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাবত্ চৈতন্য পন্থী ও গৌড়ীয় বৈষ্ণবেরা উৎকল ছেড়ে চলে গেলেন কেন ?
- চৈতন্যের অন্তর্ধান এরপর তার অন্যতম পার্ষদ স্বরূপ দামোদরকে আর জীবিত অবস্থায় দেখা গেল না কেন ?
- তার মৃত্যুর কয়েক বছরের মধ্যে উত্কলে সিংহাসনে বসলেন ষড়যন্ত্রকারী গোবিন্দ বিদ্যাধর ।
- ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেনের 'চৈতন্য অ্যান্ড হিজ এজ' গ্রন্থ থেকে জানা যাচ্ছে, চৈতন্যের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে ও উৎকলে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সমস্ত রকম প্রচার এমনকি ন্যূনতম কীর্তনগান পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল ।
চৈতন্য যদি জগন্নাথের দারু অঙ্গে লীন হয়ে গিয়েছিলেন, তাহলে তো সেই ঘটনা মানুষের মনে চৈতন্য এবং বৈষ্ণব পন্থার বিস্ফোরণ ঘটার কথা । কিন্তু কার্যত তা দেখা গেল না ! উপরন্তু এক নিদারুণ আতঙ্কে উৎকল ও বঙ্গের বৈষ্ণব মণ্ডলী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ।
ডক্টর জয়দেব মুখোপাধ্যায়ের মতে, সেই কারণেই চৈতন্য দেবের উপর লেখা সমস্ত বৈষ্ণব গ্রন্থ ইচ্ছে করে এড়িয়ে গেছে, চৈতন্যের তিরোধানের শেষ মুহূর্তের বর্ণনাতীত অস্বচ্ছ বর্ণনাকে । তবে হ্যাঁ, এই কঙ্কাল যে শ্রীচৈতন্যের তা নাও হতে পারে, হতে পারে তা গদাধর পণ্ডিত বা অন্য কোনও ব্যক্তির । একমাত্র সঠিক পদ্ধতিতে ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এর যথার্থ সত্য উদঘাটিত হওয়া সম্ভব ।
এ বিষয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ভারত সরকারও এই কাজে এগিয়ে আসবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি ।
তথ্যসূত্রঃ Sanatan Pandit YouTube Channel
খুব সুন্দর ভাবে পুরাে রহস্য উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তীতে এমন আরাে রহস্যের ওপর। আলােকপাত করুন দয়া করে। সত্যিটা জানা প্রয়ােজন।
উত্তরমুছুন❤️🙏🏻
মুছুনআপনি একদম সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে । আপনাকে, সেই সঙ্গে অবশ্যই দাবি করছি চৈতন্যদেব অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটন এর জন্য সরকারি ভাবে সঠিক তদন্ত শুরু করা হােক ।
উত্তরমুছুনএর সুষ্ঠু বিচার চাই ✊
অবশ্যই ❤️
মুছুন❤️❤️
মুছুনহ্যা দিদি, আমিও বিশ্বাস করতাম, যে চৈতন্যদেবকে গুমখুন করা হয়েছিল ।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য ❤️
পশ্চিমবঙ্গ থেকে বলছি দিদি
❤️
মুছুন🙏🏻🙏🏻
মুছুনএ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিতে পারেন 🙏🏻
উত্তরমুছুনএ বিষয়ে আমিও শুনেছিলাম ।
উত্তরমুছুনbut আজকে অনেক বিস্তারিতভাবে জানতে পারলাম ❤️
অনেক ধন্যবাদ দিদি 🙏🏻
আপনার কন্টাক্ট ফর্মে যোগাযোগ করেছি । কিছু তথ্য প্রয়োজন
😍
মুছুনJustice for Shri Chaitanya Mahaprabhu 😭
উত্তরমুছুনThanks❤️
উত্তরমুছুনTake Love ❤️
মুছুনBrother 🙏🏻
এই বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
উত্তরমুছুন❤️
মুছুন