ওফ! এই গরমে দুপুরে ভাতঘুমটা সবে জমছিল, হঠাৎ মাথার মধ্যে কোথা থেকে যেন ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট তারিখটা কড়কড়ে রোদের মতো জ্বলে উঠল। আরে বাবা, ইতিহাস তো শুধু কিছু সাল-তারিখ আর ঘটনার বিবরণ নয়, ইতিহাস মানে আমাদের অস্তিত্বের গোড়ার গল্প। সেই সময়ে আমার বা আপনার দাদু-ঠাকুমা, বা তাঁদের বাবা-মায়েরা কীসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই কষ্ট, সেই ক্ষোভ, সেই আতঙ্কের আঁচটা কি আর শুধু বইয়ের পাতায় পড়ে বোঝা যায়? আসলে আমরা বাঙালিরা ইতিহাসটা ভুলে যেতে বড় ভালোবাসি। কিংবা বলা ভালো, ভুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা এত গভীর দাগ কেটে যায় যে শত চাইলেও তা ভোলা যায় না। তেমনই এক বীভৎস অধ্যায় হলো 'কলকাতার ভয়াবহ দাঙ্গা' যা আসলে ছিল এক গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর রূপায়ন।
আজকের এই লেখাটা লিখতে গিয়ে আমার মনে একটা কথা বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমরা যারা এখন কলকাতায় বসে আরামে ফেসবুক স্ক্রল করি, ফুচকা খাই, শপিং মলে ঘোরাঘুরি করি, তারা কি একবারও ভাবি এই শহর এককালে কী ভয়াবহ নরক দেখেছিল? আমার নিজের ঠাকুমার মুখে শুনেছি সেই দিনের কথা। তিনি তখন ছোট। দাঙ্গার সময় তাঁর পরিবারকে প্রায় এক সপ্তাহ ঘরের ভেতর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। ভয়ে সারা শরীর জমে যেত। এই যে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা, যা আমার পরিবারের স্মৃতিতে মিশে আছে, সেটাই আমাকে এই ইতিহাস নিয়ে আরও গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, এটি একটি স্মৃতিকথা। তাই আসুন, সেই সময়ের ধুলো-মলিন পাতাগুলো একটু উল্টে দেখি, যেখানে লুকিয়ে আছে অনেক না বলা কথা।
কলকাতার ভয়াবহ দাঙ্গা: ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট
ভূমিকা: প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক
১৯৪৬ সালের ২৭ জুলাই মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ১৬ আগস্টকে "প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস" (Direct Action Day – Britannica) রূপে পালনের আহ্বান জানায়। মুসলিম মহল্লায় ধ্বনি ওঠে 'লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান'। Direct Action-এর প্রস্তাব গ্রহণ করে মহম্মদ আলি জিন্না উল্লাস ও সংকল্প প্রকাশ করে বলেন-
"What we have done today is the most historic act in our history. Never have we in the whole history of the League done anything except by constitutional methods and by constitutionalism.....Today we have also forged a pistol and are in a position to use it."
সোহরাওয়ার্দীর প্ররোচনামূলক ভূমিকা ও প্রস্তুতি
বাংলায় তখন মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভা। গান্ধীর প্রিয় ভ্রাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দু-মেধ যজ্ঞের আয়োজন সম্পূর্ণ। ৫ আগস্ট ১৯৪৬-কলকাতা থেকে প্রকাশিত The Statesman পত্রিকায় সোহরাওয়ার্দী "শহীদ” এই ছদ্মনামে এক প্রবন্ধে লিখলেন দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও রক্তপাত যদি মহৎ কাজের জন্য হয় তবে তা খারাপ নয়। আজ মুসলমানের নিকট পাকিস্তান দাবি অপেক্ষা প্রিয় ও মহত্তম আর কিছু নেই।
"Bloodshed and disorder are not necessarily evil in themselves if resorted for a noble cause. Among Muslims today no cause is dearer or nobler than Pakistan."
মুসলমান দাঙ্গা-বাজদের সুরক্ষার জন্য পাঞ্জাব থেকে ৫০০ মুসলমান পুলিশ আনা হয়েছে। ১৬ আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল। বিভিন্ন উর্দু পত্রিকায় ছাপা হল মুসলিম লীগ নেতাদের প্ররোচনামূলক বিবৃতি। বিলি করা হয় লক্ষ লক্ষ উত্তেজনাপূর্ণ প্রচার পত্র। একটি উর্দু পত্রিকায় লেখা হয়-
"এই রমজান মাসে ইসলাম ও কাফেরদের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য যুদ্ধ আরম্ভ হয়।...এই রমজান মাসেই আমরা মক্কায় জয় লাভ করি এবং পৌত্তলিকদের নিশ্চিহ্ন করিয়া দেই। এই মাসেই ইসলামের বনিয়াদ স্থাপিত হয়। আল্লার ইচ্ছায় পাকিস্তান লাভের উদ্দেশ্যে জেহাদ আরম্ভ করিবার জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগ এই রমজান মাস ঠিক করিয়াছে"।
মুসলিম লীগের সেক্রেটারি ও কলকাতার মেয়র ওসমানের স্বাক্ষরে এই প্রচারপত্রটি প্রচারিত হয়।
১৬ আগস্ট: দাঙ্গার প্রথম প্রহর
আমি তৎকালীন কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা নিচে পেশ করছি! লেখাগুলো সাধুভাষায়, পড়ায় অসুবিধে হতে পারে, তবুও পড়বেন।
১৫ আগস্ট (১৯৪৬) রাত্রিতে মুসলিম লীগের স্বেচ্ছা-সেবকরা কুচকাওয়াজ করিল, জেহাদের কথা লরীযোগে মুসলমান পাড়াগুলিতে প্রচার করিয়া বেড়াইল এবং সঙ্গে "লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান" এই ধ্বনি শোনা গেল।
১৬ আগস্ট শুক্রবার ভোর না হতেই দলে দলে মুসলমানরা পথে বাহির হইয়া পড়িল এবং দোকানদারদের দোকান বন্ধ করিবার জন্য জিদ করিল। তার পরেই আরম্ভ হইল দোকান লুঠ এবং দোকানের লোকদের প্রহার ও ছুরিকাঘাত। ইতিমধ্যে মানিকতলা, রাজাবাজার, মেছুয়াবাজার, টেরিটিবাজার বেলগাছিয়া প্রভৃতি মুসলমান-প্রধান অঞ্চলগুলিতে হিন্দুদের উপর আক্রমণ শুরু হয়। ...এইরূপে পথে গুণ্ডামি করিয়া নানা দিক হইতে বিরাট শোভাযাত্রা করিয়া তাঁহারা গড়ের মাঠে সভায় যোগদান করে। তাহাদের প্রত্যেকের হাতেই লাঠি, ছোরা, তরবারি প্রভৃতি কোন না কোন অস্ত্র ছিল।
ময়দানের সভায় কাফের হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করিয়া জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়া হয়। সভার পর জেহাদের সৈনিকরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়া হিন্দুদের দোকান লুণ্ঠন ও হিন্দুদের হত্যা আরম্ভ করে।
শহরের যে সব স্থানে মুসলমানেরা সংখ্যায় কম, সেই সব স্থানে লরীযোগে লোক পাঠাইয়া স্থানীয় মুসলমানদের শক্তিবৃদ্ধি করা হইয়াছিল। সন্ধ্যার মধ্যেই শহরের উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম পর্যন্ত আগুন জ্বলিয়া ওঠে। সর্বত্র মুসলমানেরা আক্রমণ চালাইতে থাকে এবং আক্রান্ত হিন্দুরা পুলিশকে টেলিফোন করিয়া ও সম্মুখে পুলিশ দেখিলে তাহাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়া একই উত্তর পাইতে থাকে । রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিবার হুকুম নাই।
নরহত্যা, লুণ্ঠন, গৃহদাহ প্রভৃতি পুলিশের চক্ষের উপর ঘটিয়াছে, বাধা দেওয়া দূরের কথা, কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশ এবং সার্জেন্টরা লুঠের মালের ভাগ আদায় করিয়াছে।
আরো জানুনঃ নোয়াখালী দাঙ্গা: এক পরিকল্পিত দাঙ্গার ইতিহাস
ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় দাঙ্গার বীভৎসতা
ইংরেজ ঐতিহাসিক Leonard Mosley-র বর্ণনায় প্রথম দিনের ঘটনা।
"They crossed the Hooghly River from Howrah into Calcutta soon after dawn. They were armed with lathi, knives, bottles...or other kinds of iron bars... They waited in doorways and alley ways...At two o'clock on the afternoon of 16th Aug. 1946 Mr Saheed Sharawardy addressed a mass meeting in the Maiden, Calcutta's main square. He was in an ebullient mood and thanked his listeners for their numbers, their enthusiasm and their active work for Pakistan."
প্রথম দুইদিন মুসলমান তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী অভাবনীয় সাফল্যের সঙ্গে হিন্দুমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে। সেই একই ইতিহাস, হত্যা, হিন্দু নারী ধর্ষণ, অপহরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ। এ কাজ যাতে নির্বিঘ্নে হয় সুরাবর্দি তার সুব্যবস্থা করেছিলেন।
দাঙ্গা বেধে যাওয়ার পর সোহরাওয়ার্দী (লালবাজার) পুলিশ কন্ট্রোল রুমকেই ঘরবাড়ি করে ফেলেছিলেন এবং পুলিশ পাঠানো না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর এই হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্য নাকি ছিল মুসলিমদের রক্ষার জন্য পুলিশ নিয়োগ না করা। সুরাবর্দির বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ পুলিশই করেছিল।
রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা ও প্রতিক্রিয়া
দাঙ্গা থেমে যাওয়ার পর ভাইসরয় আর্চিবাল্ড ওয়াভেল কলকাতা এসেছিলেন। তিনি পুলিশ কমিশনার, গভর্নর এবং আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে ডায়েরিতে লিখেছেন:
"আমার মনে সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা এই যে (প্রধানমন্ত্রী) সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগের বন্ধুগণ সহ সংগ্রামের প্রথম দিনে (১৬ আগস্ট) প্রায় সর্বদাই পুলিশ অফিসের যে ঘর হইতে শহরের সর্বত্র পুলিশের গতিবিধি ও কার্যক্রম সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয় (Control Room) সেইখানে ছিলেন এবং তাঁহার সাম্প্রদায়িক মনোভাব।”
সুরাবর্দি সম্বন্ধে জেনারেল বুশারও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন।
ভাইসরয় দিল্লি থেকে উড়ে এসেছেন কলকাতায়। আসতে পারেননি জওহরলাল নেহেরু। তিনি দিল্লিতে মন্ত্রিসভা গঠনে ব্যস্ত। কিন্তু বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দি ছিলেন খুবই সক্রিয়।
"কলিকাতায় হাঙ্গামার পর বঙ্গীয় আইন পরিষদে উহা লইয়া যে আলোচনা হয় তাহাতে প্রকাশ পাইয়াছিল যে পার্ক স্ট্রীট থানায় আনীত সাতজন অভিযুক্ত আসামীকে স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী (সোহরাওয়ার্দী) আসিয়া মুক্ত করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন।"
ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পরিসংখ্যান
কলকাতা-দাঙ্গার জন্য সকলেই সোহরাওয়ার্দী অভিযুক্ত করেছেন। এ দাঙ্গার পরিকল্পনাই তাঁর। সৈন্যবাহিনী ও পুলিশকে ব্যারাকে রেখে তিনি মুসলমানদের নির্ভয়ে হিন্দু-হত্যায় সুযোগ দিয়েছেন। Leonard Mosley লিখেছেনঃ
"It was only when the Hindus and Sikhs had come out in retaliation then the chief Minister had called for military aid."
মুসলিম লীগের প্রত্যক্ষ সংগ্রামে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্বন্ধে বড়লাট ওয়াভেল লন্ডনে ভারত সচিবের নিকট নিম্নোক্ত বার্তা পাঠান:
"১৬-১৮ আগস্টের মধ্যে কলিকাতার এই সকল দাঙ্গায় ৪৪০০ জন হত, ১৬০০০ আহত এবং এক লক্ষ লোক গৃহহীন হয়েছে।"
Great Calcutta Killings – Sahapedia
প্রবাসী পত্রিকার মতে, "ছয় হতে আট হাজার লোক নিহত হয়; পনেরো হতে বিশ হাজার আহত হয় এবং পাঁচ হতে সাত কোটি টাকার সম্পত্তি লুণ্ঠিত হয়। লুণ্ঠিত সম্পত্তির শতকরা নব্বই ভাগ হিন্দুর"।
নেহেরুর নীরবতা এবং ঐতিহাসিক সত্য গোপন করার চেষ্টা
হিন্দুকে চরম শিক্ষা দিবার উদ্দেশেই কলকাতায় হিন্দু-নিধন। সুতরাং মুসলমান দাঙ্গাবাজদের মুসলমান প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী রক্ষা করবেন-ইহাই স্বাভাবিক। কিন্তু যা অস্বাভাবিক। তা হল ঘটনার কয়েক বৎসর পরও সুরাবর্দিকে বাঁচাবার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু-র চেষ্টা।
ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদার-এর বিবরণীতে—
"এই ঘটনার সাত বৎসর পর এই গ্রন্থের লেখক (রমেশ চন্দ্র মজুমদার) ভারত সরকার কর্তৃক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস প্রণয়নের ভারপ্রাপ্ত হইয়া সরকারী গোপনীয় কাগজপত্র দেখিবার অনুমতি পান। দিল্লীর দপ্তরখানায় কলিকাতা ১৯৪৬ সনের দাঙ্গা সম্বন্ধে একটি ফাইলে দিল্লী হইতে বাংলায় প্রেরিত গুপ্তচর সোজাসুজি দিল্লী সরকারকে (বাংলা সরকারের অজ্ঞাতে) যে সব রিপোর্ট পাঠাইতেন তাহা রক্ষিত আছে। ইহাতে এমন সব দলিলপত্র আছে যাহাতে নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী নিজে ১৬ আগস্টের দাঙ্গার ব্যবস্থা করেন..."
কলিকাতা-দাঙ্গার সাত বছর পর অর্থাৎ ১৯৫৩ সাল। ভারত ভাগ করে গঠিত হয়েছে পাকিস্তান রাষ্ট্র। তখন কলিকাতার হিন্দু-নিধনের গোপন দলিল প্রকাশিত হলে সোহরাওয়ার্দীর ভাবমূর্তি হয়তো ম্লান হত। সেই কারণেই কি নেহেরুর আপত্তি?
আমরা আজকাল শুধু ইতিহাস পড়ি না, নিজেদের শেকড়টাকে খুঁজি। ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্টের সেই দিনটা শুধুমাত্র একটি দাঙ্গা ছিল না, ছিল আমাদের বহু বছরের যৌথ সংস্কৃতি, সম্প্রীতি আর বিশ্বাসের ওপর একটা মারাত্মক ছুরিকাঘাত। এই ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া মানে নিজেদের পরিচয়কেই অস্বীকার করা। আমাদের এই প্রজন্মকে জানতে হবে সেই দিনের কথা, সেই বীভৎসতার কথা, যাতে এমন ভুল আর না হয়। কারণ, ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া মানেই নতুন করে সেই ভুল করার রাস্তা খুলে দেওয়া।
এই নিবন্ধটি যদি আপনার মনে সামান্য হলেও প্রশ্ন তোলে, কিংবা আপনাকে আরও কিছু জানার জন্য উৎসাহিত করে, তবেই আমার এই চেষ্টা সার্থক। আমাদের ইতিহাস নিয়ে আরও এমন অনেক অজানা কথা জানতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার অভিজ্ঞতা বা এই বিষয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। আপনার একটি মন্তব্য হয়তো আরও অনেকের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারে।
🔗 তথ্যসূত্রঃ




